Wednesday, September 22, 2021

 #রহস্যময়_সেই_লাশ

পর্ব:১
মর্গ বা লাশ কাটা ঘর,প্রতিটি মানুষের কাছেই রহস্যময় কৌতুহলের শেষ নেই।মর্গ হলো এমন একটি ঘর যেখানে সব লোকের মৃতদেহ থাকে।মর্গের মধ্য থাকা সাড়ি সাড়ি লাশের মধ্যে কিছু লাশ থাকে খুবই স্বাভাবিক। আবার কিছু কিছু লাশ এতোটা রহস্যে ঘেরা থাকে যে,সেই রহস্যগুলো উন্মোচন করতে গিয়ে ঘটতে থাকে ভয়ংকর ঘটনা।আজ এমনই একটি রহস্যময় লাশের ঘটনা তুলে ধরবো।

একটি বাড়িতে কিছু লাশ খুজে পাওয়া যায়।যাদের অবস্হা এতোটা ভয়ানোক ছিল যে,কোনে সাধারন মস্তিষ্কের মানুষের কাছে এটা একটি দু:স্বপ্ন।

ঘটনা স্হলে ৩ টি বিকৃত লাশ ছিল।পুলিশ সেখানে তদন্ত করছিল।এমন সময় শোনা যায় সেই ঘটনাস্থলে আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে।কিন্তু বাকি লাশগুলোর তুলনায় এই লাশের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।লাশটি একদম ঠিক আছে।আশ্চর্যজনক এই যে,এই লাশটিকে প্রতিবেশীরা কেউই চেনে না।

এক অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ এটি।

এই বিষয়টি দেখার পর পুলিশদের কাছে অস্বাভাবিক লাগে।তারা এই অজ্ঞাত লাশটিকে একটা নাম দেয়। তারা লাশটির নাম রাখে "Jane Dui"।তাদের এই নাম দেওয়ার কারন হলো এই লাশটিকে যেন তারা খুব তারাতারি শনাক্ত করতে পারে।

পুলিশ এই লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

এদিকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ময়নাতদন্ত করে আসছে। তাদের একজনের নাম ছিল "টমি" অপর জনের নাম ছিল" অস্টিন "।তারা দুজনই ছিল পেশাদার ময়নাতদন্তকারী।এবং সম্পর্কে ছিল বাবা ছেলে।ল্যাবে বাবা ছেলে একটি পুরে যাওয়া লাশের ময়নাতদন্ত করছিল।

এমন সময় ল্যাবে ঘুরতে আসে অস্টিন এর জিএফ।তার নাম ছিল এমা!এনা তার জীবনের প্রথমবার কোনো মর্গে আসে।অস্টিন চলে যায় এমার কাছে তাকে সঙ্গ দিতে।এমা অনেক জিৎ করে যে,সে একটা লাশ দেখবে।এদিকে টমিরও কাজ শেষ।

টমি তার ছেলেকে বললো,
টমি:অস্টিন, তুমি এমাকে ২০৩ নাম্বর লাশটি দেখাতে পারো।
অস্টিন এমাকে সঙ্গে নিয়ে ২০৩ নম্বর লাশ দেখাতে নিয়ে গেল।এই লাশটির পায়ে একটি ঘন্টা বাধা ছিল।এমা খুব কৌতুহলবসত জানতে চাইলো কেন এই ঘন্টা লাশের পায়ে বাধা?

তখন অস্টিনের বাবা টমি বলতে থাকে।
টমি:আসলে অতিতে মানুষ মারা গেলে কেউ বুঝতেই পারতো না।তাই তারা দেহের পায়ে একটি ঘন্টা বেধে দিত।যদি সে মারা না যায় তাহলে কোনো একসময়ে তার দেহ কেপে উঠবে।আর জানা যাবে যে সে বেচে আছে।প্রাচিন কালে এই ঘন্টা বাধার ফলেই মানুষেরা জানতে পারতো আসলে লাশ মৃত নাকি তা জীবিত!কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন সহজেই জানা যায় এটা।তাই প্রাচিন এই পদ্ধতিটি আর চলে না।তবে আমি একজন প্রাচিন চিন্তাধারার মানুষ।তাই এই পদ্ধতি আমি ব্যাবহার করি।

এমা বুঝতে পারে।টমি তার ল্যাবে যায়।এদিকে অস্টিন তার জিএফ এমার সাথে ডেটে যেতে চায়!
ঠিক তখনি পুলিশ হাজির সেই Jane Dui নামক লাশটি নিয়ে।

পুলিশ:দেখুন,এটা একটি অজ্ঞাত লাশ।আর এর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগামিকাল সকালের মধ্য চাই।
ব্যাস,অস্টিনের ডেটে যাওয়া আর হলো না।এমাকে বাহিরে ছেড়ে দিয়ে অস্টিন Jane Dui কে নিয়ে ল্যাবে যায়।তারা বাবা ছেলে লাশের ময়না তদন্ত শুরু করে দিল।ময়নাতদন্ত করার সময় তারা দুজনই সম্পুর্ন কন্ফিউস ছিল।কেননা সেই লাশের শরীরে কোনো রকম ক্ষতের চিন্হ ছিল না।তারা লক্ষ করলো লাশের দু হাতের কবজি এবং দু পায়ের গোড়ালি পুরোপুরি ভাঙ্গা।এবং জিহ্বা অর্ধকাটা ছিল।তাছাড়া লাশের চোয়ালের বাম পাশের নিচের সাড়ির একটি দাতও ছিল না।এরপর টমি লাশটির মাঝ বরাবর কাটা শুরু করে।তারা যখন লাশের মাঝ বরাবর কেটে ফেলে তখন তারা দেখে লাশের ভেতরের অংশ যেমন ফুসফুস পুরোপুরি জ্বলে গিয়েছিল।লাশের ভেতরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখে মনে হচ্ছিল সেগুলো একদম পুরে গেছে।লাশটির শরীরের উপরি অংশে তেমন কোনো ক্ষতের চিন্হ দেখা না গেলেও লাশটির ভিতরে একদম বিভৎস রকম অবস্হা। অর্থাৎ লাশটির উপরিভাগ যতটা সুন্দর ছিল ভেতরে ততটাই ভয়ানোক ছিল।তারা দুজন বুঝতে পারলো লাশটিকে বাহিরে থেকে আঘাত না করলেও ভেতরে প্রচুর পরিমানে আঘাত করা হয়েছে। কিন্তু এরকমটা কিভাবে সম্ভব? এ ছাড়া JaneDui এর লাশটি দেখে মনে হচ্ছিল কিছু সময় আগেই সে মারা গিয়েছে।কিন্তু তার চোখ ছিল ঘোলাটে এবং ধুসর রঙ্গের।যা এটা প্রমান করে যে,এর মৃত্যু কয়েক মাস বা কয়েক বছর আগে হয়েছে।লাশটির বাহিরের দৃশ্য দেখে মনে হয় কয়েক ঘন্টা আগে মৃত্যু হয়েছে কিন্তু চোখের অবস্হা দেখো মনে হয় কয়েক বছর ধরে লাশটি এভাবেই আছে।

আমাদের Youtube Channel ঘুরে দেখতে পারেনঃ https://www.youtube.com/channel/UCbxVZ3RA-f0c6wYQjp8rlPA

-----------
পেতে বন্ধু হয়ে পাশেই থাকুন।
ধন্যবাদ

Tuesday, March 12, 2019

Hello Friends,
                           My name is
Md Faruk Hossen(Faruk)
..I am a new web blog user..